শিক্ষা মানবজীবনের মৌলিক অধিকার।এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জীবন-দক্ষতা ,সৃজনশীলতা মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ।একটি আত্ম-নির্ভরশীল ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।মূলত শিক্ষা ও সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমেই জীবন আলোকিত হয়,দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি লাভ করে।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখহাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই উন্নয়নের মহাসড়কে পেীঁছে গেছে।এর মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ পূরণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছেন।তাঁর ঘোষণাতেই ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ আজ ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজে রূপান্তরিত হয়েছে । কাঁচামাটিয়া নদীর তীরে মনোরোম প্রাকৃতিক পরিবেশে ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজটি অবস্থিত ।কলেজের সুযোগ্য ও সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলী, সুশৃঙ্খল আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশে প্রজেক্টর মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান,ক্রীড়া ও সংস্কৃতির অনুশীলনে নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলস প্রতেষ্টার ব্রতী।ফলে সকল পরীক্ষায় ফলাফলের শীর্ষে রয়েছে এই কলেজ।ইতোমধ্যে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে অত্যন্ত সুচারুভাবে পাঠদান পরিচালিত হয়ে আসছে।প্রতিষ্ঠাকাল থেকে অনেক বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে সাফল্যের ৫১ বছরে পদার্পণ করেছে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানাটি।এ উপলক্ষে কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে পরবর্তী যাত্রাপথে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের অবদানকে আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।কলেজের সাবেক গভনিংবডির শ্রদ্ধেয় সভাপতি সাবেক সংসদ জনাব মো:আব্দুছ ছাত্তার সহ সম্মানিত সকল সদস্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং এলাকাবাসী আগ্রহ ও উদ্দীপনায় প্রতিষ্ঠানটি সরকারি কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে এবং অত্র অঞ্চলের সেরা বিদ্যাপীঠের গেীরবলাভে সমর্থ হয়েছে । সকল প্রতিকূলতা কে উপেক্ষা করে দৃপ্ত শপথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে,সুন্দর সোনালী আগামীর পথে । এক্ষেত্রে সকলের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করি।সবার জন্য আমার আন্তরিক শুভকামনা ও অভিনন্দন।